বোয়ালখালীতে টানা কয়েকদিন ধরে চলছে পল্লী বিদ্যুতের অমানসিক অত্যাচার।কেউ কেউ বলছে বোয়ালখালীবাসির সাথে পল্লী বিদ্যুতের এটি লুকোচুরি খেলা।
আর কেউ কেউ বলছেন এটি কি শুধুই লুকোচুরি খেলা নাকি বিদ্যুতের সংকট নাকি ইচ্ছে করেই বিদ্যুৎ কর্তাদের অবহেলা।
বিদ্যুতের এমন আচরণে বোয়ালখালীবাসির ক্ষোভ এখন চরমে।
এলাকাবাসীরা বলছেন সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না।সবাই বাইরের কাজকর্ম ছেড়ে যখন সন্ধ্যায় বাসায় আসে দেখা যায় কিছুক্ষণ কারেন্ট থাকার পর আবার চলে যায় ঘন্টাখানেক পর আবার আসে ৫-১০ মিনিট বিদ্যুৎ থেকে আবার চলে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা খুব অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।একদিকে প্রকৃতির অমানবিক বিচার গরমে থাকতে পারছি না আর অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতের সারাদিন বিদ্যুৎ নিয়ে এমন লুকোচুরি খেলা সত্যিই আমাদেরকে অতিষ্ট করে তুলেছে। আমরা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে চাই।সুষ্ঠু একটা সমাধান চাই।
বোয়ালখালীতে বিদ্যুৎ সংকট চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই।বোয়ালখালী সংবাদ প্রতিদিনের অনুসন্ধান বলছে যার মূল কারণ হলো পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণছুটি এবং বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি।
এছাড়াও বড় কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়া এবং ধারণা করা হচ্ছে জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় চট্টগ্রামে সামগ্রিকভাবে লোডশেডিংও বেড়েছে যা বোয়ালখালীকেও প্রভাবিত করছে।
▪️বোয়ালখালীতে বিদ্যুৎ সংকটের কারণ ও প্রভাব
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণছুটি:
পল্লী বিদ্যুতের সমিতির ৪ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মকর্তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়েছেন। এর ফলে বোয়ালখালী জোনাল অফিসে শুধুমাত্র দুজন প্রহরী ও ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) রয়েছেন।
▪️বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি:
খালের ভাঙনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ধসে পড়ার কারণে ১১টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
▪️সার্বিক লোডশেডিং:
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি (গ্যাস, কয়লা ও ফার্নেস অয়েল) সংকট এবং কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকার কারণে চট্টগ্রামে সার্বিকভাবে লোডশেডিং বেড়েছে, যা বোয়ালখালীতেও প্রভাব ফেলছে।
▪️বিদ্যুৎ বিপর্যয়:
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের গণছুটির কারণে পটিয়া, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, গুনাগরি, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালী উপজেলায় বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।